ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুরে নাতনীকে ধর্ষণ পূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে ধর্ষক দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানান, নিজ পাড়া গ্রামের জনৈক্য ব্যক্তির কন্যা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের পর গর্ভবতী হয়। পরর্বতীতে সুকৌশলে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায় এমন অভিযোগ করে সাদুল্লাপুর থানায় ১১ জুন/২১ সালে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার একমাত্র আসামীকে গত ৩০ জুন পীরগঞ্জের বড়গোপালপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক নিজপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে আব্দুল মজিদ (৬০)। উল্লেখ্য, ২৪ জুন/২১ সালে স্থানীয় একটি ক্লিনিক মেয়েটির ৬ সপ্তাহে আন্তঃসত্তা ধরা পরে। এনিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানা মুখি গুঞ্জন। এঘটনায় গত ১১ জুলাই/২১ ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে প্রতিবেশী সর্ম্পকিয় দাদা মজিদকে আসামী করে সাদুল্লাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২। মামলা সূত্রে জানাযায়, নিজপাড়া গ্রামের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ৯ মে তারিখে প্রতিদিনের ন্যায় আসামী আবদুল মজিদ (৬০) বাড়ীর পাশ দিয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ী ফেরার পথে মজিদ নাতনী সম্পর্কের মেয়েটিকে ডাকদেয় এবং সুকৌশলে তার বাড়ীর ভিতরে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। দীর্ঘ ৯মাস ধর্ষক দাদা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ সেরাজুল হক তাকে গ্রেফতারে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ট্রাকিং করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় পীরগঞ্জ এলাকার বড় গোপালপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।